প্রকাশিত: Mon, Mar 6, 2023 4:37 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 3:41 PM

কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার

রোপা আমন মৌসুমে সাশ্রয় ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা

মতিনুজ্জামান মিটু: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ তারিক মাহমুদুল ইসলাম জানান, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের কোনও বিকল্প নেই। এজন্য সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১২ ক্যাটাগরির যন্ত্র হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং সমতলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কম্বাইন হার্ভেস্টার।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, রোপা আমন মৌসুমে সারা বাংলাদেশে ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৪.২ হেক্টর জমিতে ফসলের আবাদ করা হয়।  এরমধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৭০. ৫১ হেক্টর জমির ধান। যা মোট আবাদি জমির ১১.২২ শতাংশ। 

কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটায় কৃষকের সাশ্রয় হয় প্রায় ৫৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটায় শস্যের অপচয় রোধ হয়েছে দুই লাখ ১৮ হাজার টন। যার বাজার দাম প্রায় ৫৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা। রোপা আমন মৌসুমে সারা বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারে কৃষকের মোট অর্থ সাশ্রয় হয় প্রায় এক হাজার ১১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। 

প্রকল্প পরিচালক জানান, সনাতন পদ্ধতিতে শ্রমিকের মাধ্যমে ১ একর জমির ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে খরচ হয় ১১ হাজার ৮০০ টাকা। কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ১ একর জমি ফসল কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে খরচ হয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে প্রতি একর জমিতে লাভ হয় ৫ হাজার ৮০০ টাকা। কম্বাইন হারভেস্টারের ফসল কাটায় পরবর্তী অপচয় ২ থেকে ৩ শতাংশ। যা সনাতন পদ্ধতিতে ১০ থেকে ১২শতাংশ। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভোলার উপপরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের বরাতে তিনি জানান, ভোলায় রোপা আমন মৌসমে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটায় প্রায় ৮৯  কোটি ৭৪ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। একই রকম তথ্য জানিয়েছেন শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার উপ পরিচালকরা।  সুনামগঞ্জের বৌরারং ইউনিয়নের রজোগাইরগাঁও গ্রামের কৃষক মো. আবুল বারাকাত বলেন,  তিনি ইয়ানমার এজি ৬০০ মডেলের একটি কম্বাইন হারভেস্টার ৭০ শতাংশ ভর্তুকির মাধ্যমে যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প থেকে ক্রয় করেছেন। তিনি বলেন, কম্বাইন হারভেস্টার আসার আগে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হতো। ধান কাটার সময় লোক পাওয়া যেতো না। বন্যায় অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যেতো। এখন আমি আমন ও বোরো দুই  মৌসুমে সব খরচ বাদ দিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব